বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
ধীরে ধীরে বরিশাল নগরের চকবাজার, কাটপট্টি, গীর্জামহল্লাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকাগুলোতে জনসমাগম বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকেই মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের পরও বিপণিবিতান খুলে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার সড়কে রিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। এক কথায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না লোকজন।
মঙ্গলবার (১২ মে) নগরের চকবাজার, কাটপট্টি, গীর্জামহল্লা, হেমায়েত উদ্দিন রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কাপড়ের বড় বড় দোকান ছাড়া প্রায় সব ধরনের দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখা যায়।
এর মধ্যে হাতে গোনা কিছু লোক দোকান পুরোপুরি খোলা রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করলেও অনেকে দোকানের একাংশ খোলা রেখেছেন। অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসায় সেখানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়া নগরের কাটপট্টি এলাকায় দোকানের সাটার আটকে সামনে লোক রেখে ব্যবসা করতে দেখা গেছে ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ীদের।
তবে নগরের বিভিন্ন সড়কে পুরুষদের থেকে নারীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেলেও চকবাজার এলাকার বস্ত্রবিতানগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
শনিবার (০৯ মে) দিনগত রাতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আহ্বানে সারা দিয়ে জীবন ও জীবিকার মধ্যে জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে ঈদ উপলক্ষে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
এ সিদ্ধান্তের কথা ও মেয়রের আহ্বান বরিশাল নগরের অন্য ব্যবসায়ী মালিক সমিতিকে রোববার (১০ মে) দুপুরের মধ্যে জানাতে বলেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম।
অপরদিকে বরিশাল জেলার যে সব শপিং মলের মালিক বা কর্তৃপক্ষ ঈদ পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের কর্মচারীদের সহায়তার জন্য তালিকা জেলা প্রশাসনে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। তবে এ ঘটনার দুদিন পরেই বরিশাল নগরের চিত্র পাল্টে যেতে থাকে।
নগরের চকবাজার, কাঠপট্টি, লাইনরোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড ও পদ্মাবতী এলাকায় পাঁচশতাধিক দোকান রয়েছে। ঈদ কেনাকাটায় প্রতিবছর নগরবাসী এখানেই ভিড় জমিয়ে থাকেন।